চট্টগ্রাম জেলা শহরের বায়ু দূষণের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। জরিপের ভিত্তিতে জানানো হয়, এলাকাভেদে প্রধান সড়কগুলোর পাশে নির্ধারিত মানদণ্ড থেকে প্রায় দুই থেকে আট গুণ বেশি দূষিত হচ্ছে বায়ু।
শহর গুলোর বায়ু দূষণে দেশের মানুষের গড়ে আয়ু কমছে ৭ বছর করে। একই কারণে বিশ্বের মানুষের আয়ু কমেছে ২ বছর, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো এর এক গবেষনায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই গবেষণা অনুযায়ী ২৩৪ দেশের মধ্যে বায়ু দূষণে বাংলাদেশের অবস্থান সবার শীর্ষে।
সমকাল পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, নগরীর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন রাস্তার ধুলাবালির কারণে শিশু ও বয়স্কদের ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে সংক্রমণ দেখা দেয়। এ ছাড়া যক্ষ্ণা, ব্রঙ্কাইটিস, চোখের সমস্যা, বদহজম, অ্যালার্জিসহ ভাইরাসজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দীর্ঘদিন ধুলাবালির পরিবেশে থাকার ফলে একপর্যায়ে ক্যান্সার, এমনকি কিডনিতেও সমস্যা হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুদের এ ধুলাবালি থেকে আরও বেশি দূরে থাকা উচিত।
সমকাল পত্রিকার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, গত আগষ্ট তাদের পরিচালিত ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্টের বায়ু পরিমাপ সূচক বিশ্নেষণ করে চট্টগ্রামে বাতাসে ছোট ছোট ধুলিকণার পরিমাণ পিএম-১০ রেকর্ড করা হয় ৩১৯। ওই মাসের ১৭ দিনই বাতাসে এ ধরনের ধূলিকণা ছিল। যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। পিএম ২ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয় সর্বোচ্চ ১১৯; যেখানে স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ৬৫।
মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় পুরো চট্টগ্রামই ধুলাবালির নগরীতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতু সড়ক, মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন, বহদ্দার হাট থেকে জিইসি, বাস টার্মিনাল থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা, ওয়াসা সড়ক, স্টেশন সড়ক, চান্দগাঁও আরাকান সড়ক, ষোলশহর দুই নম্বর গেট মোড়, পলিটেকনিক সড়ক, পূর্ব নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি সড়ক, কালামিয়া বাজার, এক্সেস রোড, পোর্ট কানেক্টিং রোড, সদরঘাটসহ আরও কয়েকটি সড়কে ধুলাবালি এত বেশি যে, দেখে মনে হবে কুয়াশায় ঢাকা।
মিনা আকতার,
অনার্স প্রথম বর্ষ,
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম